শিকার ও শিকারীগন
বিশ্বের ২১ টি দেশ ভ্রমনের লব্ধ অভিজ্ঞতা অর্জন করার মত সৌভাগ্য আমার হয়েছে। কিছুটা কন্ঠশিল্পী হিসেবে আর কিছুটা পথভ্রষ্ট দিক পাল হারা যাযাবর হিসেবে অথবা বলা যায় জীবিকার অন্বষনে দেশ থেকে দেশান্তরে ঘুরে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা থেকে আমার কিছু লিখার ইচ্ছে ছিল অনেক দিনের লিখেছি প্রচুর । বিগত ১৭টি বছর লিখছি; লিখছি ব্লগে লিখছি টুইটরে লিখছি ফেচবুকে এবং অন্যান্য জনপ্রিয় মাধ্যমগুলোতে। খোদ আওয়ামী লীগের অনেক নেতা মন্ত্রীগনই বাকা কথার কারনে নাখোশ হয়েছেন অনেকবার। আমি তাতে ভ্রক্ষেপ করে থেমে থাকিনি। কারন জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শ থেমে থাকার শিক্ষা দেয়নি। বঙ্গবন্ধু বলতেন
"কেউ যদি সত্য কথা বলে-আর সে যদি একজনও হয় আমি তার কথাই সমর্থন করবো এবং মেনে নেবো"
সত্য কথা বলতে যেয়ে সাবেক প্রবাসী কল্যানমন্ত্রী আমাদের বেয়াই ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ সাহেবের তিরস্কারও শুনেছি। যদিও তিনি পরবর্তীতে তার নিজের ভুলের কথা অকপটে স্বীকার করেছিলেন। এটাই আমার স্বভাব এবং এ কারনেই জীবন থেকে পিছিয়ে পড়েছি। তারপরেও থেমে নেই।
মালদ্বীপের রাজধানী মালের সব চেয়ে বৃহৎ ও ধনিক শ্রেনী তথা ভি আই পি ও ভি ভি আই পি পরিবারের ছেলে মেয়েদের স্কুল "ইস্কান্দার" । একজন গুণী ও অভিজ্ঞ সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে বিগত ১৩ বছরে যথেষ্ট সুনাম অর্জনে সক্ষম হয়েছে। আমার এ স্কুলটিতে মালদ্বীপের সকল মন্ত্রী এম পি এমন কি সকল রাষ্ট্রপতিগণও এই স্কুলের ছাত্র ছিলেন। তাদের ছেলে মেয়েরাও একই স্কুলের ছাত্র/ছাত্রী। এ আমার পরম সৌভাগ্য বলে আমি মনে করি। আমার স্কুলের অধ্যক্ষ ও অন্যান্য লিডিং টিচার, সুপারভাইজার ও এডমিনিস্ট্রেটর সবাই জানেন" মুক্তি উচিত কথা বলে তা' হোক সে মন্ত্রী বা অধ্যক্ষ। সে কারনে আমার স্কুলেও অনেকেই ঈর্ষান্বিত ।

পাকিস্তানের বিভাজন মূলতঃই একটি দুর্নীতিমুক্ত গণতান্ত্রিক সুখি সমৃদ্ধশালী জাতির জন্ম দেবার জন্য সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু যুদ্ধাপরাধী শক্তি আর পাকিস্তান জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুকে তার জীবনের শেষ ইচ্ছেটি পুরন করার সুযোগ দেয়নি। জাত্রিজনক বঙ্গবন্ধুকে এই একই কারনে স্বার্থান্বেষী কুচক্রি ঘাতক দালাল দুর্নীতি পরায়ন আমলারা জোট বেধে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছিল। ১৯৭২ থেকে ৭৫ সময়কালীন আওয়ামী লীগের শাসনামলে সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত বাংলাদেশ মূলতঃ যুদ্ধবিধস্থ অচল অব্যবস্থা থেকে উঠে আসতে কতিপয় রাজনৈতিক বিপথগামী নেতা ও আমলাগণ বঙ্গবন্ধুকে এতটূকুন সহযোগিতা করেনি বরং জাতি সংঘসহ বিশ্বের দাতাগোষ্ঠির নিকট বঙ্গবন্ধুর অবস্থান হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য সকল প্রকার ষড়যন্ত্রের প্রয়োগ করে গণতান্ত্রিক শিশুকে হত্যা করে দেশকে তুলে দেয়া হয় সামরিক জান্তার হাতে।( আংশিক)
No comments:
Post a Comment