Thursday, November 26, 2015

শিকার ও শিকারীগন (আদম ও বেপারী )

শিকার ও শিকারীগন

বিশ্বের ২১ টি দেশ ভ্রমনের লব্ধ অভিজ্ঞতা অর্জন করার মত সৌভাগ্য আমার হয়েছে। কিছুটা কন্ঠশিল্পী হিসেবে আর কিছুটা পথভ্রষ্ট দিক পাল হারা যাযাবর হিসেবে অথবা বলা যায় জীবিকার অন্বষনে দেশ থেকে দেশান্তরে ঘুরে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা থেকে আমার কিছু লিখার ইচ্ছে ছিল অনেক দিনের লিখেছি প্রচুর । বিগত ১৭টি বছর লিখছি; লিখছি ব্লগে লিখছি টুইটরে লিখছি ফেচবুকে এবং অন্যান্য জনপ্রিয় মাধ্যমগুলোতে। খোদ আওয়ামী লীগের অনেক নেতা মন্ত্রীগনই বাকা কথার কারনে নাখোশ হয়েছেন অনেকবার। আমি তাতে ভ্রক্ষেপ করে থেমে থাকিনি। কারন জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শ থেমে থাকার শিক্ষা দেয়নি। বঙ্গবন্ধু বলতেন 
"কেউ যদি সত্য কথা বলে-আর সে যদি একজনও হয় আমি তার কথাই সমর্থন করবো এবং মেনে নেবো" 
সত্য কথা বলতে যেয়ে সাবেক প্রবাসী কল্যানমন্ত্রী আমাদের বেয়াই ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ সাহেবের তিরস্কারও শুনেছি। যদিও তিনি পরবর্তীতে তার নিজের ভুলের কথা অকপটে স্বীকার করেছিলেন। এটাই আমার স্বভাব এবং এ কারনেই জীবন থেকে পিছিয়ে পড়েছি। তারপরেও থেমে নেই। 
মালদ্বীপের রাজধানী মালের সব চেয়ে বৃহৎ ও ধনিক শ্রেনী তথা ভি আই পি ও ভি ভি আই পি পরিবারের ছেলে মেয়েদের স্কুল "ইস্কান্দার" ।  একজন গুণী ও অভিজ্ঞ সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে বিগত ১৩ বছরে যথেষ্ট সুনাম অর্জনে সক্ষম হয়েছে। আমার এ স্কুলটিতে মালদ্বীপের সকল মন্ত্রী এম পি এমন কি সকল রাষ্ট্রপতিগণও এই স্কুলের ছাত্র ছিলেন। তাদের ছেলে মেয়েরাও একই স্কুলের ছাত্র/ছাত্রী। এ আমার পরম সৌভাগ্য বলে আমি মনে করি। আমার স্কুলের অধ্যক্ষ ও অন্যান্য লিডিং টিচার, সুপারভাইজার ও এডমিনিস্ট্রেটর সবাই জানেন" মুক্তি উচিত কথা বলে তা' হোক সে মন্ত্রী বা অধ্যক্ষ। সে কারনে আমার স্কুলেও অনেকেই ঈর্ষান্বিত । 
কথাগুলো এ জন্যই লিখলাম যে পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ নামকরনের মাধ্যমে সকল স্বৈরাচারী সামরিক লিপ্সার পতন ঘটিয়ে অন্ধকার অমানিশার আধার পেরিয়ে নতুন সূর্যের উদয় হবে। যেখানে থাকবে না হিংসা হানাহানি দাঙ্গা হাঙ্গামা সাম্প্রদায়িক সহিংসতা। অন্ধ ধ্রমান্ধতা। ৭০ এর নির্বাচনে নিখিল পাকিস্তান (বাংলাদেশ) আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইস্তেহারে এমনই দিক নির্দেশনা ছিল। যার ইংরেজী ভাষন জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান রেডিও থেকে সরাসরি প্রদান করেছিলেন। https://www.youtube.com/watch?v=0FDHdaVSqZM   
পাকিস্তানের বিভাজন মূলতঃই একটি দুর্নীতিমুক্ত গণতান্ত্রিক সুখি সমৃদ্ধশালী জাতির জন্ম দেবার জন্য সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু যুদ্ধাপরাধী শক্তি আর পাকিস্তান জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুকে তার জীবনের শেষ ইচ্ছেটি পুরন করার সুযোগ দেয়নি। জাত্রিজনক বঙ্গবন্ধুকে এই একই কারনে স্বার্থান্বেষী কুচক্রি ঘাতক দালাল দুর্নীতি পরায়ন আমলারা জোট বেধে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছিল। ১৯৭২ থেকে ৭৫ সময়কালীন আওয়ামী লীগের শাসনামলে সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত বাংলাদেশ মূলতঃ যুদ্ধবিধস্থ অচল অব্যবস্থা থেকে উঠে আসতে কতিপয় রাজনৈতিক বিপথগামী নেতা ও আমলাগণ  বঙ্গবন্ধুকে এতটূকুন সহযোগিতা করেনি বরং জাতি সংঘসহ বিশ্বের দাতাগোষ্ঠির নিকট বঙ্গবন্ধুর অবস্থান হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য সকল প্রকার ষড়যন্ত্রের প্রয়োগ করে গণতান্ত্রিক শিশুকে হত্যা করে দেশকে তুলে দেয়া হয় সামরিক জান্তার হাতে।( আংশিক)

Tuesday, November 24, 2015

বাংলাদেশ হাই কমিশনের অভ্যন্তরীণ কর্মকাণ্ড ও প্রবাসীদের হয়রানী

প্রবাসী বাঙ্গালিদের নিয়ে হাই কমিশনের হাজারো দুর্নীতি স্বজনপ্রীতি লুন্ঠন অনিয়ম ও সেচ্ছাচারীতার বিরুদ্ধে বহু সংগ্রাম করে, অভিযোগ করেও সুফল পাওয়া যায়নি। রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের অপরাধে তৃতীয় অহিদুজ্জামান লিটনকে বদলী করেও সমস্যার সমাধান হয়নি; এতটুকুন উন্নতি হয়নি বাংলাদেশ হাই কমিশনের অভ্যন্তরীণ সেবা ও কর্মকাণ্ডের। নতুন হাই কমিশনার রিয়ার এডমিরাল কে এস হোসেন স্যার এসে যেনো ভারতীয় মহা সাগরে থেই হারিয়ে ফেলেছেন। কোথাও কোন নিয়ম শৃঙ্খলা তিনি দেখতে পাননি; চেষ্টা করছেন ঢেলে সাজিয়ে একটি মর্যাদা সম্পন্ন কমিশনে উন্নীত করার। কিন্তু তিনি একাই কি তা করতে পারেন? 

মালদ্বীপে অবস্থানরত বাঙ্গালীদের দুখের কথা কেউ শুনতে চায়নি,  আজ বর্তমান হাই কমিশনার সাহেব শুনতে চাচ্ছেন, কিন্তু শুনতে চাওয়া আর সমাধান দেয়া কি এক কথা? আগাছা উফরে না ফেলতে পারলে ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়; সে আগাছা কি একজন হাই কমিশনার কর্তৃক কেটে ছেটে পরিষ্কার করা সম্ভব? একজন হাই কমিশনার প্রশাসনিক ক্ষমতার সীমাবদ্ধতার কারনে তিনি ইচ্ছে করলেই সার্ফ এক্সেল ব্যবহার করে গোটা হাই কমিশন ধোলাই করার অধিকার সংরক্ষণ করেন না; উপরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; প্রবাসী কল্যান জনশক্তি রপ্তানী মন্ত্রণালয়; যে দুটি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও করমচারীদের কর্মকাণ্ড আইন শৃঙ্খলা বিধি ইত্যাদি বিষয়ক নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা মাননীয় হাই কমিশনার সাহেব সংরক্ষণ করেন না। ফলে যে লাউ সে কদু হিসেবেই অনিয়ম দুর্নীতি স্বজনপ্রীতি সেচ্চাচারীতার গর্তে ডুবে আছে। হাই কমিশনার সাহেব বসেন ৮ তলায় আর সকল দুর্নীতি অনিয়ম স্বজনপ্রীতি ঘটে ৭ তলায়। উপর তলা থেকে নিচতলার কর্মকাণ্ড ভিন্ন প্রশাসনিক বিভাগের কর্মকর্তা বিধায় না জানারই কথা। বাংলাদেশ সরকারের  মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম এম পি সাহেবকে এ নিয়ে বার বার লিখিত অভিযোগ করা সত্বেও কোন ফলপ্রসূ কাজ হয়নি। 

হয়তো ভারতীয় মহা সাগরের কালো পানির এ ছোট্ট দ্বীপে কর্মরত ১ লক্ষ বাঙ্গালীরা আর জনমে কোন মহা পাপ করেছিল; তাই আজ তার প্রায়শ্চিত্য করছেন। অথবা ১ লক্ষ বাঙ্গালী কোন মাসে কোণ রেমিট্যান্স দেশে প্রেরন করেন না; অথবা আমরা মানুষ নই। একটি সিন্ডিকেট যাকে ভালো বাংলায় সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্ত দালাল সুবিধাভোগি অবৈধ নারী, ডলার ও আদম ব্যবসায়ী ও কুচক্রীদল বলা হয়ে থাকে। গড়ে তোলা সিন্ডিকেটের গভীর চক্রান্ত ও ক্ষমতার অপব্যবহারের কারনে হাজার হাজার বাঙ্গালী মালদ্বীপে এসে প্রতারিত হচ্ছে; চাকুরী নেই; ভিসা নেই; থাকা খাবার বন্দোবস্ত নেই; কিভাবে দেশে ফিরবে তাও জানা নেই; অথচ বিচার পাচ্ছে না। অন্যদিকে মাননীয় হাই কমিশনার স্যারের সাথে একই মঞ্চে পাশাপাশি একই সারিতে বসতে দেখা যায় এ সকল দুর্বৃত্তদের। এরাই অনুষ্ঠানাদি হলে খাদ্য পরিবেশন করে; মাইকে বড় বড় লম্বা নীতিবাচক বক্তৃতা দেয়; হাই কমিশনের অন্যান্য কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে রস গল্প হাস্য রস করতে দেখা যায়। বাহ বাহ! কি মজা! যেখানে ওদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে; সেখানেই ওরাই হাই কমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে পারিবারিকভাবেই আন্তরিক। আমরা কার কাছে বিচার চাইবো? কাকে শোনাবো মালদ্বীপ হাই কমিশনের খোশ গল্প? কেউ নেই। যারা আছে, তারা এ সি রুমে গভীর রাতে হাই কমিশনের কর্মকর্তাদের আয়োজিত ভোগ বিলাসে মত্ত। আওয়ামী লীগ বি এন পি আর শিবিরের প্রসংগ না হয় নাই বললাম। 

 আমরা এর একটা সুন্দর সমাধান চাই।